টেকনাফে অপহরণের ২৫ ঘণ্টা পর পল্লী চিকিৎসকসহ দুইজনকে মুক্তিপণে ছেড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউপির চৌকিদারপাড়া পাহাড়ের পাদদেশ থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদেরকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উদ্ধারকৃতরা হলো- উখিয়ার থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকির হোসেনের পুত্র পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন আরমান (৫৫) এবং টেকনাফের শামলাপুর ১নং ওয়ার্ডের মৃত মো. শফির পুত্র মো. রফিক (৩৫)।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, সোমবার অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ পাহাড়ে দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে। এতে অনেকটা নিরুপায় হয়ে অপহৃত দুই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। পরে রাত ১১টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করে পুলিশ।
তবে অপহৃত পল্লী চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যদের দাবি, মুক্তিপণে ফিরেছে চিকিৎসক জহির উদ্দিন আরমান। প্রাথমিকভাবে মুঠোফোনে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। পরে ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর চৌকিদারপাড়া পাহাড়ি এলাকায় তাদের রেখে যায়। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
এইদিকে অপহৃত মো. রফিকের স্ত্রী বলেন, পাঁচ মেয়ে আর স্বামী ছাড়া সহায়-সম্বল বলতে আর কিছু নাই। আল্লাহর রহমতে আমার স্বামীকে ফেরত পেয়েছি। মুক্তিপণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কীভাবে ফেরত আসছে এসব কিছুই আমি জানিনা। আমার স্বামী ফেরত আসছে শুনে বাহারছড়া তদন্তে কেন্দ্রে গিয়েছি।
অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন আরমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর-হোয়াইক্যং পাহাড়ি ঢালের সড়ক দিয়ে সিএনজিযোগে বাড়ি যাওয়ার পথে কুদুমগুহা নামক জায়গা থেকে একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে আমাদেরকে পাহাড়ের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখান থেকে হাঁটা শুরু করে ফজরের আযানের সময় তাদের আস্তানায় পৌঁছি। ওই দীর্ঘ পথে হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা নিরুপায় হয়ে পড়লে মারধর করে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে আমার মোবাইল থেকে বোনের নাম্বারে কল করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তবে কী পরিমাণ মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মুখ খুলেননি।